রাজধানীর বনানীতে সিটি করপোরেশনের জায়গায় নির্মাণ করা পাঁচ তারকা হোটেলের হিস্যা চুক্তি অনুযায়ী উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) বুঝে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদনর জমা দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
এবিষয়ে করা রিটের শুনানিতে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে শত শত কোটি টাকা আদায়ের সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এসময় রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আর ভবনের মালিক বোরাক রিয়েল এস্টেটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রমজান আলী শিকদার ও আবু তালেব। গত রবিবার রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
‘সরকারি জমিতে পাঁচ তারকা হোটেল’ শিরোনামে একটি দৈনিকে গত ১ জুন প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীতে সিটি করপোরেশনের ৬০ কাঠা জায়গায় ২৮তলা ভবন বানিয়ে ভোগদখল করছে বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড। সেখানে তৈরি করা হয়েছে পাঁচ তারকা হোটেল।
ডিএনসিসি বলছে, বোরাক রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে চুক্তি ছিল ১৪তলা ভবন নির্মাণের, যার ৩০ শতাংশ পাবে সিটি করপোরেশন, বাকিটা বোরাক। সিটি করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, তাদের ভাগের সম্পদের মূল্য প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা। কিন্তু এই হিস্যা গত এক দশকেও বুঝে পায়নি সিটি করপোরেশন। উল্টো চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ১৪তলার পরিবর্তে ২৮তলা ভবন নির্মাণ করে পুরোটাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বোরাক।এই প্রতিবেদন প্রকাশিতের পর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন দুদকে একটি আবেদন করেন। তাতে সাড়া না পেলে এ প্রতিবেদন যুক্ত করে গত রবিবার হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
নিউজ /এমএসএম