চার বছর আগে চট্টগ্রামে বাংলাদেশকে স্রেফ নাস্তানাবুদ করেছিল আফগানিস্তান। সাদা পোশাকে মুখোমুখি লড়াইয়ের প্রথম ম্যাচেই রূপকথার জন্ম দেয় আফগানিস্তান। মোহাম্মদ নবীর বিদায়ী ম্যাচ জিতে তার গোটা পৃথিবীকে রাঙিয়ে দেয় রশিদ খান, জহির খান, রহমত শাহরা।
চার বছর পর আবার লাল বলের ক্রিকেটে মাঠে নামতে যাচ্ছে দুই দল। চোটে থাকা রশিদ খানকে বিশ্রাম দিয়ে নতুন মোড়কে দল সাজিয়ে আফগানিস্তান খেলতে এসেছে বাংলাদেশে। তবে চার বছরের আগের সুখস্মৃতি এখনো তরতাজা আফগানদের। দলের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি জানালেন, চট্টগ্রামে খেলা ম্যাচ থেকেই আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন তারা।
সোমবার অনুশীলনের পর প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসে হাশমতউল্লাহ বলেছেন, ‘এটা (চট্টগ্রাম টেস্ট) আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। আমরা এখানে একটি মাত্রই টেস্ট খেলেছি এবং সেটা জিতেছি। যেটা আমাদেরকে প্রবলভাবে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। আমরা সেখান থেকেই শুরু করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য থাকবে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা এবং শেষ ম্যাচ থেকে আত্মবিশ্বাস নেওয়া।’
জয় পাওয়া সেই ম্যাচে রশিদ খান ছিলেন দলের ট্রামকার্ড। ১১ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেন একাই। এবার রশিদ খান নেই। তবে ম্যাচ জেতানো আরও বোলার আছে বলে আগেভাগেই জানিয়ে রাখলেন হাশমতউল্লাহ, ‘এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। আপনারা সবাই জানেন, রশিদ খান আমাদের দলের মূল বোলারের একজন। সে আগের টেস্টগুলোতে ভালো পারফর্ম করেছে। তবে এখন আমাদের অন্যান্য বোলার আছে, অন্য অপশনও আছে। আশা করছি তারা আমাদের হয়ে পারফর্ম করবে।’
আফগানিস্তানের যেমন রশিদ নেই, বাংলাদেশের নেই সাকিব আল হাসান। তাতে দুই দলে কিছুটা হলেও ভারসাম্য এনেছে। তবে দলের বাকিদের ওপর হাশমতউল্লাহর প্রবল আত্মবিশ্বাস, ‘সাকিব ও রশিদ দুজনই বিশ্রামে আছে। যেটা আগে বললাম, আমাদের ভালোমানের ক্রিকেটার আছে যারা আমাদের ম্যাচটা জেতাতে পারে। সেদিকেই তাকিয়ে আছি। আমাদের ব্যাটসম্যান যারা আছে তারা প্রত্যেকেই বিশ্বাসযোগ্য। তারা আগে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। সম্প্রতি ওয়ানডে ক্রিকেটে ভালো করেছে। ইব্রাহিম, রহমত শাহ। আমি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলাম। এছাড়া প্রতিশ্রুতিশীল বেশ কজন ভালোমানের ব্যাটসম্যানও আছে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো করবে এবং তারা দিনকে দিন আরও উন্নতি করবে। দলের থেকে এটাই প্রত্যাশা করছি। আশা করছি যা চাইছি তারা তা করতে পারবে।
আফগান দল উড়িয়ে এনেছে তরুণ স্পিনার ইজহারুলহক নাভিদকে। ১৯ বছর বয়সী স্পিনার বিগ ব্যাশ, সিপিএল এবং পিএসএলে খেলেছেন। তাকে ভবিষ্যতের তারকা মানছেন আফগান অধিনায়ক, ‘সে ভালোমানের স্পিনার। টি-টোয়েন্টিতে সে বিগ ব্যাশে খেলেছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট একেবারেই ভিন্ন। তবে এর আগে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে সে ভালো করেছে। ভবিষ্যতে আফগানিস্তান দলের তারকা ক্রিকেটার হতে পারে সে।’
দলে অনেক পরিবর্তন। নতুন মুখ অনেক। তবুও নিজেদের লক্ষ্যে স্থির আফগানিস্তান, ‘আমাদের প্রত্যাশা অনেক উচুঁতে। আমরা এখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে এসেছি। জিততে চাই।
নিউজ /এমএসএম