ঠাকুরগাঁওয়ে কয়েকদিনের প্রচন্ড তাপাদাহে বিপর্যস্থ জনজীবন। এর উপরে বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জমির ফসল নিয়ে সমস্যা তৈরী হয়। এ কারনে বৃষ্টি চেয়ে দ্বিতীয় দিনের মত সালাতুল ইসতিসকার আদায় করা হয়। মঙ্গলবার (৬জুন) সকাল ১১ টায় পৌর শহরের গোয়ালপাড়া দারুস সালাম কাওমী মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গনে এ সালাত আদায় করা হয়।
দীর্ঘদিনের রোদের তীব্রতা, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া, গরমে অতিষ্ঠ হওয়ায় গোয়ালপাড়া দারুস সালাম কাওমী মাদ্রাসার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইসতিসকার নামাজে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক মুসল্লী অংশ নেন। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য দোয়া পরিচালনা করেন অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি রেজাউল করিম।
দোয়ার আগ মুহুর্তে বক্তব্য দেন অত্র মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাও. এমদাদুল হক, ঠাকুরগাঁও বিএমএ’র সভাপতি ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা: আবু মো: খয়রুল কবীর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো: মোদাচ্ছের হোসেন প্রমুখ। এর আগে অত্র মাদ্রাসা ও আশপাশের মাদ্রাসার শিক্ষকগণ অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তিতে খুৎবা পাঠ করে আল্লাহর কাছে এ অবস্থা থেকে উত্তরোনে পানাহ প্রার্থনা করেন।
মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি রেজাউল করিম বলেন, আমরা অনাবৃষ্টির কারণে প্রচন্ড বিপদে রয়েছি। চারিদিকে বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত্রে পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। আল্লাহতায়ালা সালাতের মাধ্যমে বৃষ্টি চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নত। আর চাওয়াকে আরবিতে সালাতুল ইসতিসকার বলা হয়। যার অর্থ হলো পানির জন্য দোয়া।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টি না হওয়ার ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সৃষ্টি হয় সমস্যার। রোদের তীব্রতা বৃদ্ধি ও বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতীষ্ঠ হয়ে পরেছে। সোমবার প্রথম ইসতিসকার সালাত আদায় করা হয়। বুধবার (৭ জুন) সকাল ১০ টায় মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গনে তৃতীয় দিনের মত সালাত আদায় করা হবে বলে জানান মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।