বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন

নিরাপত্তা সহযোগিতা মানে কোনো জোটে যোগ দেয়া নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩
  • ৫৩ এই পর্যন্ত দেখেছেন

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম বলেছেন, অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সহযোগিতার অর্থ- কোনো কৌশলগত জোটে যোগদান নয়, বরং নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।

তিনি বলেন. নির্বাচন অথবা নিষেধাজ্ঞা কোন কিছু নিয়েই, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোন অস্বস্তি নেই। কোন জোট বা দেশের সঙ্গে যুক্ত হতেও আন্তর্জাতিক চাপে নেই বাংলাদেশ।

বুধবার সকালে দৈনিক ইত্তেফাক আয়োজিত ‘বাংলাদেশ অ্যাট দ্য ক্রসরোড: ইন কনভারসেশন উইথ শাহরিয়ার আলম’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক, নির্বাচন, বিদেশি চাপ, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর, জিডিআই, রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য বিষয়ে তিনি বক্তব্য দেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী পরিচালক ও প্রকাশক তারিন হোসেন।

রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এই অলোচনা সভায় শাহরিয়ার আলম বলেন, নিকট ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করছে ঢাকা। কোনো বিদেশি শক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না।

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া সাম্প্রতিক ভিসা নীতি কোন ভাবেই নিষেধাজ্ঞা নয়। এমনকি এটি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার কোন উপায়ও নয়। বাংলাদেশ কোনও বিদেশি চাপে প্রভাবিত হয় না। কোনও বিদেশি শক্তির চাপে শেখ হাসিনা প্রভাবিত হন না। বাংলাদেশ নির্বাচনকে সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য করতে এরইমধ্যেই নতুন আইন প্রণয়নসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরিপক্ব সম্পর্ক রয়েছে। তবে অন্যান্য যেকোনো সম্পর্কের মতো এখানেও কিছু অস্বস্তিকর উপাদান রয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় অস্বস্তিকর হচ্ছে- বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত না দেয়া।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, আমরা আশা করি, ওই নীতির যথেচ্ছ ব্যবহার হবে না। ভিসানীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার বিষয়টি আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোনও যুক্তি দেখি না। ২০২১ সালের পর নতুন কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। আমি কোনও কারণ দেখি না, যার কারণে সামনের বছরগুলোতে কোনও ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যবসা ও বাণিজ্য কোনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী দেশ আরেক দেশের সঙ্গে চরম উত্তেজনার মুহূর্তেও বাণিজ্য বন্ধ করেনি। এটি যদি সত্যি হবে, তবে বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে বাণিজ্যকে কেন জড়িয়ে ফেলা হবে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আমরা রাজনৈতিকভাবে যোগাযোগ করছি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোডে’ যুক্ত হয়েছে এবং আরও অনেক দেশ এর সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) নতুন উদ্যোগ। এটি নিয়ে আলোচনা হওয়া ভালো। কারণ আমরাও জানি না- এটিতে যুক্ত না হওয়ার মতো কোনও উপাদান আছে কিনা বলে তিনি জানান।

নির্বাচন প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম বলেন, বিএনপি বলেছে, পুলিশ, প্রশাসন এবং যারা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে দেখে নেয়া হবে এবং এটি বড় ধরনের হুমকি। আশা করবো, যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি বিবেচনা করবে। আর অর্ন্তর্বতীকালীন সরকারের দাবি করাটা এখন হবে অবৈধ এবং এটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে এবং সংকট সমাধানে প্রধান দেশগুলোর সহযোগিতা চেয়েছে।

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102