রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) উদ্ভাবনসমূহ প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)’র সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কৃষিখাতে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে ধান গবেষণার আধুনিকীকরণ, প্রতিকূলতা সহিষ্ণু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ উচ্চফলনশীল নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণে কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণবিদ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)’র সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে আমি প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি কৃষির বৃহৎ অংশজুড়ে রয়েছে ধান চাষ। আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য ধান বাঙালির প্রাত্যহিক জীবন-জীবিকার পাশাপাশি আমাদের সংস্কৃতির সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি মূলত দেশের কৃষির সামগ্রিক উন্নয়ন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে খাদ্যে স্বয়সম্পূর্ণতা অর্জনে সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। জাতির পিতার প্রদর্শিত পথেই সরকারের কৃষিবান্ধব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে কৃষককে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ সঠিক সময়ে সার-বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করছে। ফলশ্রুতিতে বর্তমানে চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, ধান উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য সত্ত্বেও দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষি জমি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা কারণে বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ব্রি’র বিজ্ঞানীদের নিরলস গবেষণায় এ পর্যন্ত ৮টি হাইব্রিড জাতসহ বন্যা, খরা, জলমগ্নতা, লবণাক্ততা ও ঠান্ডা ইত্যাদি প্রতিকূলতা সহনশীল মোট ১১১টি উচ্চফলনশীল ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে যা প্রশংসার দাবিদার।
নিউজ /এমএসএম