কয়েক বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জাতীয় দিবসসমূহ পালনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। মিশন দুটিতে আলাদাভাবে জাতীয় দিবস পালনের কারণে প্রবাসি বাংলাদেশিদের উপস্থিতি, দেশত্ববোধ ও প্রাণ সঞ্চার হচ্ছে। এবারও দুটি মিশনে পালন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস।
একুশের প্রথম প্রহরে দুবাইয়ের স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিটে বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে হাজার হাজার প্রবাসি বাংলাদেশি অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের পর দুবাই ও উত্তর আমিরাতে থাকা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানগুলো পৃথকভাবে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও দুবাইয়ের অস্থায়ী শহীদ মিনারে প্রবাসি বাংলাদেশিদের অন্তত ৫০টি সংগঠন শ্রদ্ধা জানায়। জনতা ব্যাংক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাই, বাংলাদেশ সমিতি দুবাই ও শারজা, বাংলাদেশ উইমেন অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইউএই, বঙ্গবন্ধু পরিষদ দুবাই, শারজা, আজমান ছাড়াও অনেক সংগঠন এতে অংশ নিয়েছে।
সন্ধ্যায় দিবসটি উপলক্ষে দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নানা আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ ছাড়াও কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে একুশটি ভাষার ওপর বহুভাষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
অন্যদিকে দিনের শুরুতে আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাসেও যথাযোগ্য মর্যাদায় মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। দূতাবাস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ স্কুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মহিলা সমিতিসহ প্রবাসি বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বাণী পাঠ করা হয়।
নিউজ /এমএসএম