ভারতবর্ষে উপনিবেশ স্থাপন করতে এসে ভারত থেকে অনেক কিছুই ব্রিটেনে পাচার করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ব্রিটেনের রানির মুকুটে ব্যবহৃত বিখ্যাত কোহিনূর হীরা তার অন্যতম উদাহরণ বলে বিবেচনা করা হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও মূল্যবান পাথরের মধ্যে অন্যতম হলো কোহিনূর হীরা। অভিযোগ রয়েছে, ভারতবর্ষ শাসনকালে, তৎকালীন রানি ভিক্টোরিয়াকে খুশি করতে ভারত থেকে এই হীরা নিয়ে রানির সামনে প্রদর্শন করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এরপর থেকেই মূলত এই হিরা ব্রিটিশ রানির মুকুটে স্থান পায় এবং যুগ যুগ ধরে সেই মুকুট রানিদের রাজ্যাভিষেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবার রাজ্যাভিষেকে রানি ম্যারির মুকুট পুনরায় ব্যবহার হতে চলেছে। এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে বাকিংহাম প্রাসাদ।
তবে, এবার হয়ত ঘটতে চলেছে ব্যতিক্রম। ১৯৪৭ সালে ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের পরে ভারত এখন ব্রিটেনের কাছে ফেরত চাইছে মূল্যবান এই হীরা। তৎকালীন ভারতবর্ষের অংশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানও এর অংশীদারিত্ব নিয়ে দাবি তুলেছে।
ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা কুইন কনসোর্ট হতে চলেছেন। এ বছর মে মাসে বাকিংহাম প্রাসাদে হতে চলেছে তার রাজ্যাভিষেক। তবে বিপত্তি ঘটলো মুকুট নিয়ে। ভারতের দাবিকৃত ১০৫ ক্যারেটের এই কোহিনূর হীরার মুকুট দিয়ে রাজ্যাভিষেকে নারাজ ক্যামিলা। ১৯১১ সালে রানি ম্যারির ব্যবহৃত মুকুটে নিজের মতো করে কিছু পরিবর্তন করে সেটি দিয়েই রাজ্যাভিষেক চান তিনি।
নিউজ /এমএসএম