বৃটেনের বাঙালি কমিউনিটির বৃহত্তম সংগঠন গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইন ইউকে এর (জিএসসি)’ বর্তমান কমিটির কর্মকর্তাদের আর্থিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, সংবিধান লঙ্ঘনের প্রতিবাদ ও ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবীতে গত সোমবার (১৬ জানুয়ারি) পূর্ব লন্ডনে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বর্তমান কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ড. মুজিবর রহমান।
পেট্রনদের সুপারিশ ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং ত্রুটিপূর্ণ ভোটিং ডেলিগেট মেম্বারশিপসহ নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে জিএসসি’র প্যাট্রন ড. হাসনাত এম হোসাইন এমবিই ও কে এম আবু তাহের চৌধুরীর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সুপারিশ ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে বৃহত্তর এই কমিউনিটি সংগঠনের ধারাবাহিকতা ও ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার আহ্বান জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৯ সালে মেম্বারশিপ ফর্ম ফিসসহ জমা দিয়ে আমরা সবাই দুই বছরের জন্য সদস্য হই। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সালে সবার মেম্বারশীপের মেয়াদ শেষ হয়। অতএব আমরা কেউই এখন আর বৈধ ভোটার নই। এই অবস্থার জন্য দায়ী জিএসসির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।সেন্ট্রাল এনইসি’র মেয়াদ ছিল দুবছর । কোনপ্রকার এজিএম ছাড়া পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ায়, তারাও এখন অবৈধ । তাই অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে একমাত্র সংগঠনের সম্মানিত পেট্রনদের সাংগঠনিক বৈধতা আছে জিএসসিকে পুনরুদ্ধার করে মেম্বারদের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চেয়ারপার্সন পদ প্রার্থী মসুদ আহমেদ, ট্রেজারার পদ প্রার্থী হেলেন ইসলাম , জিএসসি নেতৃবৃন্দের মধ্যে সাবেক চেয়ারপার্সন কমিউনিটি লিডার নূরুল ইসলাম মাহবুব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম কায়সার, এম তাজুল ইসলাম, ফজুল রহমান, রনজু আহমেদ, নুরুল ইসলাম, গিয়াসউদ্দিন, রেজাউল করিম সিপার, এম জামাল হোসেন, জালাল উদ্দিন, কদর উদ্দিন, সৈয়দ আব্দুল করিম সায়েম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ জিএসসির গঠনতন্ত্রের বেশ কয়েকটি বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন এনএসির বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা ও তার প্রতিবাদে কমিশনারদের পদত্যাগ, অবৈধভাবে একতরফা কমিশনার নিয়োগ, ভোটার তালিকা ও নমিনেশন পেপারে অসংখ্য গলদের অভিযোগ উত্থাপন করেন নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে ছয় বছর ক্ষমতা ধরে রাখার জন্যই তারা ব্যক্তিগত স্বার্থে সংগঠন, তার তহবিল ও গঠনতন্ত্রকে ব্যবহার ও বারবার কাটাছেঁড়া করছেন। তারা অবিলম্বে এ ধরনের অপতৎপরতা থেকে বিরত থেকে জিএসসিকে রক্ষায় অবৈধ ও প্রহসনের নির্বাচন বাতিল, পেট্রনদের সুপারিশ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান। পাশাপাশি তারা ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটিকে রক্ষা করতে কমিউনিটির সচেতন সকলের প্রতি এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।
নিউজ/ যুক্তরাজ্য / কেএলি