সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন

শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফেরার পরই নব যুগের সূচনা হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : বুধবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ১৩৬ এই পর্যন্ত দেখেছেন

বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সশরীরে নতুন স্বাধীন স্বদেশে ফিরে আসার পরই নবযুগের যাত্রা শুরু হয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, এরপর জাতির পিতা হিসেবে যা যা করণীয় ছিল বঙ্গবন্ধু তার সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে তা করে দিয়ে গেছেন। তিনি আমাদের জন্য অত্যন্ত সুন্দর একটি পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছেন। যত যত বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে সেগুলোর সদস্য পদ দিয়ে গেছেন এমনকি জাতিসংঘের সদস্য পদও দিয়ে গেছেন।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন। এই ধরনের ক্ষণজন্মা পুরুষ আমাদের সমাজে এসেছিলেন বলেই আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সাত কোটি বাঙালি মানুষ হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আর সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে, সোনার বাংলা অর্থাৎ একটা উন্নত, সমৃদ্ধশালী, স্থিতিশীল, অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য নিশ্চিত হবে।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

ড. মোমেন বলেন, ‘অনেক ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার মধ্যে সাদৃশ্য আছে যেমন—তারা দুজনেই সাহসী ও দৃঢ়চেতা। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আর এটা অর্জনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় দায়িত্ব রয়েছে। এই রোডম্যাপ বাস্তবায়নে আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশকে ইতিমধ্যে মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছি তবে এতে আত্মতৃপ্ত হলে চলবে না। আমরা সেই বাংলাদেশকে দেখতে চাই, যখন কোনো বাঙালি তার পাসপোর্ট নিয়ে কোনো বিদেশি মিশনে যাবে—বিদেশিরা তখন তাকে ভিসা দিতে দ্বিধা করবে না। এমনকি বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে অন্য দেশে ভিসামুক্ত যাতায়াত করা যাবে—সে পর্যায়ে দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন,  ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারিতে, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় ভূমিকা ছিল যা থেকে এ প্রজন্মের কূটনীতিকরা অনুপ্রাণিত হতে পারেন।’

এ ক্ষেত্রে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরীসহ তৎকালীন কূটনীতিকদের প্রশংসা করে শাহরিয়ার আলম বলেন, তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাজের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে যে আবেগঘন বক্তৃতা দিয়েছিলেন, সেখানে গণহত্যা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের কথা বলেছিলেন যে কাজটি এখনও আমরা শেষ করে আনতে পারিনি।

শাহরিয়ার আলম বলেন, এবারের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এমন এক সময়ে আমাদের সামনে এসেছে যখন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে রয়েছে। নমিনাল জিডিপির ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বে ৩৫তম।
যেখানে বাংলাদেশের পরের অবস্থানগুলোতে রয়েছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশ। আর পিপিপির (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি) ভিত্তিতে জিডিপিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার এখন ২৫তম। যেখানে মাত্র ১৪ বছর আগেও বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫৮তম।

যার নেতৃত্বে এই গতিতে আমরা অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জন করেছি তার হাতকে শক্তিশালী করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শকে ধারণ করেই আমরা দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সক্ষম হব।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102