আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জোর করে হারানো হয়েছে। সেসময় বিএনপি ও জামায়াত ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও নারী-শিশুদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। মেয়েদেরকে ধর্ষণ করেছে।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ- স্বাচিবের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সংগঠনের সভাপতি ইকবাল আর্সলানের সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী এসময় সবাইকে বুস্টার ডোজ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিনামূল্যে আমরা করোনার ভ্যাকসিন দিচ্ছি। ইতোমধ্যে ১৪ কোটির বেশি মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজও নিয়েছেন। তবে বুস্টার ডোজ নেয়ার পরিমাণ কম। এখন যেহেতু আবার করোনা বাড়ছে। তাই যারা বুস্টার ডোজ এখনো নেননি, তারাও নিয়ে নিন। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে প্রশংসা পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন অনেক উন্নত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে। যাদের টাকা-পয়সা বেশি আছে। সামান্য স্বর্দি-কাশি হলেই তারা সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিকিৎসার জন্য চলে যেতো। তবে করোনা মহামারীর সময় বিদেশের হাসপাতালগুলো বন্ধ তাকায় অসুস্থ্য হলে চিকিৎসার জন্য তারা বাইরে যেতে পারত না। ফলে দেশেই তাদেরকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হতে হয়েছে। আমাদের দেশের চিকিৎসকরা এখন অনেক ভাল সেবা দেন। তাই আমি চিকিৎসক, নার্সসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, বলা হয়- আমরা না কী কিছুই করিনি। বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়। আসলে ৬ ঋতুর দেশ তো। দুই মাস পরপর ঋতুর বদল হয়। পাখির গান শোনা যায়। তাই ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে মানুষও সবকিছু ভুলে যায়। তাই যেখানেই যাই, সেখানেই আমরা দেশের মানুষের জন্য কি করেছি, সেটা মনে করিয়ে দেই।
নিউজ /এমএসএম