রোগবালাই ঠেকাতে শরীরের আছে নিজস্ব বাহিনী, যার নাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সেই বাহিনীর রসদ জোগাতে চাই বিশেষ কিছু খাবার। একনজরে দেখে জেনে নিন, কী সেই খাবারগুলো—
কেউ খান শখ করে, কেউ বা স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ভ্রু কুঁচকে চুমুক দেন ওষুধের মতো। যেভাবেই খান না কেন, গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার ঠেকাতে ওস্তাদ।
ঝালের নিন্দুকরা এবার মুখে কুলুপ আঁটুন। ঝাল খেলে বাড়ে বিপাকের গতি। আবার রক্ত পাতলা করার প্রাকৃতিক অনুঘটক হিসেবেও কাজ করে এটি। মরিচে থাকা বিটা-ক্যারোটিন রক্তে গিয়ে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়ে লড়াই করে নানান সংক্রমণের বিরুদ্ধে। প্রোস্টেট ক্যানসারের বিরুদ্ধেও মরিচের গুণ সর্বজনবিদিত।
শুধু ড্রাকুলা নয়, ঠান্ডাজনিত রোগবালাইকেও দূরে রাখবে রসুন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দুই গুরুত্বপূর্ণ সেনা টি-লিম্ফোসাইট ও ম্যাক্রোফেইজেসের কার্যকারিতাও বাড়ায় এ মসলা।
আয়ুর্বেদ ও চীনা কবিরাজিতে হাজার বছর ধরে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। নানা ধরনের ফ্লুর ভাইরাসের বিরুদ্ধে এটি বীরের মতো লড়াই করে।
রক্তে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমানো ও রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় দারুচিনিতে থাকা উপাদান। রক্তে চিনির ওপরও খবরদারি করে এটি। যে কারণে ঠেকাতে পারে টাইপ-২ ডায়াবেটিস। খারাপ কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধেও ঢাল ধরে রাখে দারুচিনি।
বিপাকের সময় যাতে শরীরে বেশি করে পুষ্টি উপাদান শোষিত হয়, সেই ব্যবস্থা করে মিষ্টিআলুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর বাইরে আলঝেইমারস, যকৃতের রোগ, পারকিনসনস, সিস্টিক ফিব্রোসিস, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসেও এর উপকারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিটা-ক্যারোটিনে ভরপুর মিষ্টিকুমড়া। মরিচের মতো এটাও শরীরে তৈরি করে ভিটামিন এ।
দামি রেস্তোরাঁয় একে বলা হয় অয়েস্টার। কারও মতে, খেতে মন্দ নয় ঝিনুকের ডিশ। আছে ওষুধি গুণ। জিঙ্কসমৃদ্ধ ঝিনুক আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।
দিনে দিনে শরীরের কোনো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকলে তাকে বলে ডিজেনারেটিভ ডিজিজ। আরও অনেক উপকার তো আছেই। তবে টমেটোর বড় গুণ হলো এটি যাবতীয় ডিজেনারেটিভ রোগ ঠেকিয়ে রাখে।
ডুমুরের ফুল দেখা যাক-না যাক, ফলের উপকার ঠিকই ধরা পড়েছে। পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এটি। শরীরে পি-এইচ ব্যালান্স (রক্তের অ্যাসিডিটির একটি সূচক) বজায় রাখে ডুমুর ওরফে ফিগ। যার কারণে শরীরে সহজে জীবাণু আক্রমণ করতে পারে না। ডুমুরে থাকা ফাইবার রক্তে চিনির পরিমাণও কমায়। এতে মেটাবোলিক সিনড্রোমের ঝুঁকিও কমে।
শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা বাড়ায়। আর ওই কণিকা কাজ করে ঝাড়ুদারের। বিদায় করে রক্তের দূষিত উপাদান। আবার কোষের জন্য মুক্ত র্যাডিকেল যে বিপদ ডেকে আনতে পারে (যেমন—ক্যানসার), সেটার ঝুঁকিও কমায় মাশরুম।
আনার বা বেদানা যে নামেই ডাকুন তাকে, নিয়ম করে যদি এক গ্লাস জুস খাওয়া যায়, তবে ক্যানসারসহ আরও অনেক রোগ থাকবে বিপৎসীমার বাইরে। সূত্র : মেডিক প্রেজেন্টস
নিউজ /এমএসএম