মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে অঙ্গীকারবদ্ধ থেকে, বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস ঐতিহ্য ও সম্ভাবনাময় ইতিবাচক দিক তুলে ধরার লক্ষ্যে, ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে ও সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশের প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত, অনলাইন চ্যানেল ইউকে বিডি টিভি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি নিষ্ঠার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে চলছে।
এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে সোমবার বাংলাদেশ যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ইউ কে বিডি টিভির উদ্দ্যোগে “ সংকটে, সংগ্রামে, অর্জনে ও মানবিকতায় যুবলীগ” শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান ও ইউকে ওয়েলস যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ইউকে বিডি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও বৃস্টল বাথ ওয়েষ্ট যুবলীগের সভাপতি খায়রুল আলম লিংকনের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত ভ্যার্চুয়ালি আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতাকালীন সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এম এ সালাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী, ইউকে নিউপোর্ট যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ শাফি কাদির ও মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ ফয়ছল মনসুর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, যুবলীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন গণমুখী কার্যক্রম সামাজিকভাবে প্রচারের কাজে আত্মনিয়োগ করে যুবলীগ।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছে যুবলীগ। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক, জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদের সময় আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়।
স্বাধীনতার পর যুবলীগ জিয়া-এরশাদ-খালেদার স্বৈরাচারী শাসনামলেও অকুতোভয়ে সংগ্রাম করেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন এই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
জাতির কল্যাণ ও গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের জন্য আওয়ামী লীগের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। দীর্ঘ ২১ বছর আওয়ামী লীগ ছিলো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্রের করতলে। এ সময় আওয়ামী লীগের পাশে থেকে দেশে বিদেশে যুবলীগ এক অন্যন্য ভূমিকা পালন করেছে এবং কেন্দ্র থেকে শুরু করে সারাদেশে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সহ্য করেছে নির্যাতন।
যুবলীগ দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রধান শক্তি হিসাবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুংদ্ধার আন্দোলনে ১০ নভেম্বর একটি অবিস্মরণীয় দিন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮৭ সালের এই দিন যুবলীগ নেতা নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নূর হোসেন তার বুকে ও পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান লিখে এই দিনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫-দলীয় ঐক্যজোটের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত যুবলীগের সক্রিয় কর্মী শহীদ নূর হোসেনের রক্তে অর্জিত হয়েছে এদেশের গণতন্ত্র।
দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ও রক্ষায় সংগঠনটির অবদান অনস্বীকার্য বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন একজন প্রাক্তন যুবলীগার হিসাবে আমাদের একান্ত প্রত্যাশা ঐতিহ্যবাহী যুবলীগ এগিয়ে যাক আপন গতিতে মানবতার কল্যাণে, বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটি আজ পা রেখেছে ৫০ বছরে।
আসুন আগামী নির্বাচনে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে পূণরায় ক্ষমতায় আনা সহ অপরাজনীতির শক্তিকে দাঁতভাঙা জবাব দিতে এবং সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশে বিদেশে বসবাসকারী সকল যুবলীগকে মানণীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার একজন ভ্যানগার্ড হিসাবে কাজ করতেসহবে।
শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনের কার্যক্রমকে বিশ্বব্যাপী বেগবান করার পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ও বাঙালির আস্থার প্রতীক, “মাদার অব হিউম্যানিটি” শেখ হাসিনা’র ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে দেশে বিদেশে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীতে এই হোক সকল যুবলীগারদের দীপ্ত শপথনামা।
ইউকেবিডিটিভি/ যুক্তরাজ্য / কেএলি