বিনোদন ডেস্ক: অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার পর দুই বছর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন অঙ্কিতা মজুমদার। এতো দিন সংসার ও কন্যার দেখভাল করেই কেটেছে সময়। তার একমাত্র মেয়ের বয়স দেড় বছরের।
তবে আর ঘরে না থেকে মেয়েকে শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে রেখে এবার অঙ্কিতা ফের লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায় এসেছেন। জি বাংলায় ‘গৌরী এল’ ধারাবাহিকে আনন্দী চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। এই ধারাবাহিকে আনন্দীকে দেখা যাবে সংবাদ পাঠিকা হিসেবে।
অঙ্কিতার কথায়, দুই বছর পরে এমন একটি চরিত্রের হাত ধরে ফিরছি যার সঙ্গে আমার খুব মিল। আনন্দী আমারই মতো সংসার-সন্তান সামলাতে গিয়ে পেশা থেকে দূরে।
উচ্ছ্বাসের সুরে তিনি বলেন, ‘নিজে অভিনয় থেকে দূরে। প্যাশন থেকে দূরে থাকার কষ্ট ভীষণভাবে অনুভব করেছি। তাই আনন্দীর চরিত্রে ডাক পাওয়ার পরে দ্বিতীয়বার ভাবিনি। গত দুই বছরে নানা ধরনের কাজের কথা হয়েছে। চরিত্র পছন্দ হয়নি। এই চরিত্রটিই আমার খুব কাছের। আনন্দীকে জীবন্ত করতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে পারব।
চিত্রনাট্য অনুযায়ী, দ্বৈপায়ন দাসের বিপরীতে দেখা যাবে অঙ্কিতাকে। বাড়ির ছোট বউ। বাড়ির পরিবেশ পুরনো ধাঁচের। সারাক্ষণ পুজোপাঠ চলতেই থাকে। আনন্দীও ঈশ্বরবিশ্বাসী। কিন্তু, উপোস, পুজোপাঠে নয়। পরিবারের শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে সে চুপচাপ মেনে নেয় সবকিছু। অন্যদিকে পেশা থেকে দূরে থাকার কারণে যন্ত্রণায় ছটফট করে আনন্দী।
মেয়ের বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব মন খারাপ করে মেয়ের জন্য। দেড় বছর ধরে নিজের হাতে সব করেছি। ওর বেড়ে ওঠার সাক্ষী। কাজে ফিরে যত খুশি ততটাই দুশ্চিন্তায় কাটে প্রতি মুহূর্ত।’
তবে মাতৃত্ব অভিনয় জীবনে ছাপ ফেলবে কি না এ বিষয়ে অঙ্কিতা বলেন, যুগ বদলেছে। ভালো অভিনয় করতে পারলে আগামী দিনে বিয়ে, মাতৃত্ব শব্দগুলো পেশায় কোনো ছাপ ফেলবে না।