“ঋতুরাজ বসন্ত”
তোমায় ঘিরে কত স্বপ্ন, কত আনন্দ, প্রকৃতির বুকে।
বনবিহারে গাছে গাছে সবুজের মেলা।
কত রঙ্গিন স্বপ্ন এঁকেছি মনে মনে।
চুপিচুপি বাতায়নে এলোমেলো সমীরণে দোল খায় মাধবীলতায়।
উড়ুউড়ু মন দ্বিধা দ্বন্ধে আনমনায় মজে থাকি স্বপ্ন নিকেতনে।
বাসন্তীকা কুঞ্জে এলোখোঁপায় রাধাচূড়া গেঁথেছি কেশ অঙ্গে।
পলাশ, শিমুল, ও কৃষ্ণচুড়া প্রস্ফুটিত প্রায়।
দখিনা সমীরণে সোনালী রোদের আভা ঝিকিমিকি করে বালুকাবেলায়।
মনটা চলে যায় সেই-ই আবীর রাঙ্গা গোধূলি বেলায়।
প্রকৃতিও প্রাণসঞ্চারে হয়ে উঠেছে জীবন্ত ফাগুনের আস্ফালনে।
সবুজ কচি কচি পাতাগুলোও যেনো হেলে দুলে জানান দেয় যৌবনের শিহরণে।
সোনালী রৌদ্রচ্ছটা নিস্প্রভ হয়ে আসে সন্ধ্যা কূলায়।
বসন্তের জ্যোৎস্নায় আকাশে রাশি রাশি তাঁরাগুলিও
প্রেমলীলার মাধুকরী সমারোহে কিশোর – কিশোরীর সাথে মত্ত।
ফাগুনের উদাস হাওয়ায় বিনিদ্র গভীর রজনীতে আম্রকাননের মুকুলের পাগলকরা ঘ্রাণে আচ্ছন্ন প্রায়-।।
কান পেতে শুনি দূর থেকে কে যেনো গেয়ে চলেছে মধুর কণ্ঠে—–
আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে।
আকাশের চাঁদও যেনো বিমূঢ় হয়ে চাঁদনী রাতে কিরণের আভা ছড়ায় প্রতিদিন।
সেই চিরচেনা বসন্তের ফাগুন হাওয়া কোকিলের সুমধুর কণ্ঠ আজো অমলিন।
(লেখক- রাজলক্ষ্মী মৌসুমী)