স্টাফ রিপোর্টার: একাদশ জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশন শুরু হচ্ছে রোববার (১৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টায়। তবে, এবার সংসদ গিয়ে সশরীরে সংবাদ কভার করতে পারছেন না সাংবাদিকরা। তাদের সংসদ টিভি দেখে সংবাদ কভার করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
শনিবার সংসদের যুগ্মসচিব মো. তারিক মাহমুদ পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বার্থে অধিবেশনের সব কার্যক্রম সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। আর সেখান থেকে সংবাদ কাভার করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অন্যান্য অধিবেশনের মতো করোনাকালের এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংসদের বৈঠক বসবে। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অধিবেশনের শেষভাগে বিশেষ আলোচনা হতে পারে।
হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, অধিবেশনে নিয়মিত কার্যক্রম শেষ করে এক-দুইদিন বিরতি দেয়া হবে। এরপর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা হবে। সেখানে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিতে পারেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করেছে । ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ।
রোববার অনুষ্ঠেয় প্রথমদিনের বৈঠকে সভাপতি-মণ্ডলী মনোনয়ন ও শোকপ্রস্তাবের পরে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, পরিকল্পনা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হবে। তবে, করোনাকালের অন্যান্য অধিবেশনের মতো এবারও প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হতে পারে।
এছাড়া প্রথমদিনে ‘বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল- ২০২১’ ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য বিল- ২০২১, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল- ২০২১, বিরোধীদলীয় নেতা এবং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল ২০২১, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী বিল- ২০২১ এবং মহাসড়ক বিল- ২০২১ এর রিপোর্ট উত্থাপন করা হবে। বৈঠকের প্রথমদিনে পেমেন্ট বিল- ২০২১ এবং বয়লার বিল ২০২১ উত্থাপন করা হবে।
সংসদের একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন আহ্বান করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের চর্তুদশ অধিবেশন শেষ হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া অধিবেশন মোট ৭ কার্যদিবস চালানো হয়।