প্রকৃতিতে এখন ঋতুবদলের আয়োজন। শরৎ শেষে হেমন্ত নামছে। এরপর শীতকাল। কিন্তু এখনই প্রকৃতি যেন জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। উত্তরের জেলা পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ায় শীত নামা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যেই প্রকৃতিতে বইতে শুরু করেছে হিম বাতাস।
শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের ওপর ভোরের সূর্যের আলো হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক দেখা গেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঘাসের মাথায় যেন মুক্তোর মতো শিশির কণা জমে আছে।
সারদিনের তীব্র গরম শেষে গভীর রাত থেকে শুরু হচ্ছে হালকা হিমেল হাওয়া, সঙ্গে নামছে হালকা কুয়াশা। শীতকে ঘিরে সক্রিয় হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের পিঠাপুলির দোকানগুলো।
তিরনই হাট ইউনিয়নের প্রানী চিকিৎক মোহাম্মদ আলী বলেন, ঘাসের ওপর শিশির কণা রৌদ্রে ঝলমল করে, হাঁটাচলা করলে শীতে পা ভিজে যায়। আমাদের এলাকায় শীতের আগমন ঘটে গেছে। শীত এলাকার মানুষের জন্য কষ্টের সঙ্গে আনন্দেরও।
ঘাঁসের ডগায় মুক্তোর মতো শিশির কণা , তেতুলিয়ায় শীতপ্রধান এলাকা। এবারও আগাম শীতের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শীতে শাকসবজির বেশি আবাদ হয়। নতুন ধান কাটা শুরু হয়।
তিরনই হাট ইউপির পিঠাখাওয়া গ্রামের মোঃ হামিদুল
বলেন, শীত নামার আগেই পিঠাপুলি বিক্রি শুরু করেছি। নতুন ধান আর নতুন গুড়ের পিঠা বেশ মজা।
তেতুলিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষিবিদ মোছাঃ ফেরদৌসী
বলেন, সর্ব উত্তরের জেলা। এখানে শীত আগে আসে, পরে যায়। সকালে ও রাতে আমরা শীতের ছোঁয়া পাচ্ছি। তাপমাত্রারও কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। গত এক সপ্তাহে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩১ এবং সর্বনিম্ন ২৩ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।