মৌলভীবাজার শহরতলীর হিলালপুর গ্রামে সালিশ বৈঠক চলাকালে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পারভেজ আহমদ (৩৭) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারীসহ আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরতলীর হিলালপুর এলাকায় তারা মিয়ার বাড়িতে এক নারীর দ্বিতীয় বিবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে সঈদ উল্লার পুত্র পারভেজ আহমদ এর সাথে একই এলাকার সামাদ মিয়া ও তার সহযোগীদের সালিশ বৈঠক বসে।
সালিশ বৈঠক চলাকালে পূর্ব থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ ওৎ পেতে থাকা সুফিয়ান মিয়া, আজাদ মিয়া, রিপন মিয়া, শিপন মিয়াসহ অন্যান্যরা এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে গুরুত্বর আহত হন-পারভেজ আহমদ, তার বড় ভাই পীর আজাদ, মা কটই বিবি ও বাতিজা আছাদ মিয়া। আহতদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে গুরুত্বর আহত পারভেজ আহমদসহ অন্যান্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাত ৮টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে পৌঁছলে তাদের মধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসক পারভেজ আহমদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পারভেজ আহমদের বড় ভাই পীর আজাদও (৪৩) মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মো: মাহবুবুর রহমান জানান, ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাভাবিক রাখতে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ঘাতকদের ধরতে তৎপর রয়েছে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেন জানান ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে পুলিশের একটি টিম পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার সাথে জড়িত আজাদ মিয়াকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহতের লাশ এখনো সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলে বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।
নিউজ /এমএসএম