রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে লিটন দাস যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন ২৬ রানে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের। মাথার ওপর পাল্টা প্রতিরোধের চাপ। সেই চাপ তো জয় করলেনই, সঙ্গে দায়িত্বশীল ব্যাটিং নৈপুণ্যে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। ১৭১ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় তিন অঙ্কের এই ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন লিটন।
এদিকে এই সেঞ্চুরিতে নতুন রেকর্ডও গড়েন লিটন। সর্বশেষ ২০২২ সালের মে মাসে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছিলেন ক্ল্যাসিক এই ব্যাটার। এরও আগে, ২০২১ সালে চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১৪ রান করেছিলেন। তবে অবাক হওয়ার বিষয় হলো- প্রতিবারই দলীয় বিপর্যয়ে দাত্রা হয়ে এসেছেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। দলীয় স্কোর ৫০ পেরোয়নি, এমন পরিস্থিতিতেই প্রতিবার সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৯ রানে ৪ উইকেট এবং লঙ্কানদের বিপক্ষে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন এই ব্যাটার।
লিটনের সেঞ্চুরিতে ভর করে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান ২২৯। ৩৬ বলে ৪ রানে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন হাসান মাহমুদ। দ্য গ্রিন ম্যানদের ছুঁতে বাংলাদেশের আরও ৪৫ রান দরকার।
এর আগে, তৃতীয় দিনের শুরুতেই ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। ৬ উইকেট হারিয়ে ফলো-অনের শঙ্কাও জেগেছিল। তবে লিটন-মেহেদীর ১৬৫ রানের জুটিতে ফলো-অন এড়ায় টাইগাররা। এরপর সেঞ্চুরির দিকেই হাঁটছিলেন তারা। তবে হঠাৎই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মিরাজ। মিরাজের পর তাসকিনও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। লাল-সবুজের অষ্টম উইকেট পতনের পরই দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষ হয়। ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
এরও আগে, ১০ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তৃতীয় দিনে খুররাম শেহজাদের আগুনে বোলিংয়ে মাত্র ১৬ রান যোগ করতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। সাদমান ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাদমান (১০), জাকির হাসান (১), নাজমুল হাসান শান্ত (৪), মুমিনুল হক (১), মুশফিকুর রহিম (৩) ও সাকিব আল হাসান (২)।
নিউজ /এমএসএম