নোয়াখালীর সদর, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ ও সোনাইমুড়ি উপজেলাসহ বন্যাকবলিত এলাকার পানি নামছে ধীরগতিতে। ফলে এখনো লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এতে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিল্টন রায় জানিয়েছেন, গত ১২ ঘণ্টায় জেলা সদরে ৩ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। পানি দ্রুত নামাতে বিভিন্ন জায়গায় খালের উপর দেয়া বাঁধ কাটা ও ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে।
জেলায় বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সামাজিক লোকজন।
নোয়াখালী পৌর এলাকার ২২টি আশ্রয়ণের ৩ হাজার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ জাফর উল্যাহ রাসেল। বন্যার শুরু থেকেই বন্যার্ত মানুষকে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে আসছেন তিনি।
রবিবার দুপুরে নোয়াখালী শহরের মাইজদী পলিটেকনিক স্কুল এন্ড কলেজে আশ্রিত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেন বিএনপি নেতা শাহ জাফর উল্যাহ রাসেল।
এসময় জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ভিপি ফজলে এলাহি পলাশ, ভিপি আলা উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পূর্ণ বরণ চাষীসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বন্যার পানি নামতে শুরু করায় ফুটে উঠছে বন্যার ক্ষত। পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়াসহ মহামারির আশঙ্কা করছেন বানভাসিরা।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, বন্যায় এখনো ১৯ লাখ ১৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২১৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ২১ হাজার ৫৮৬ জন বানভাসি মানুষ আশ্রিত রয়েছেন। তাদেরকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত চাল, বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার, নগদ টাকা ও ওষুধ দেয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায় থেকে দেয়া ত্রাণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে দুর্গত প্রত্যন্ত এলাকায় পানিবন্দি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
নিউজ /এমএসএম