আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’র প্রভাবে পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে। আর এ ভারী বৃষ্টিপাতে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনো বিরল এই ভূমিকম্প দেশটিতে আঘাত হানেনি। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দেশটির উপকূলীয় অঞ্চল।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় আরব সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’য় পরিণত হয়। পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ এই তথ্য জানিয়েছে। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদপ্তর (পিএমডি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আসনার জেরে তাদের দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সরাসরি কোনো হুমকি নেই। তবে এর প্রভাবে শুক্র ও শনিবারের মধ্যে সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে ঝড়ো বাতাস ও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
উত্তরের আপার দিরে অবিরাম বর্ষণে ভূমিধসের কারণে বাড়ির ছাদ ধসে এক পরিবারের ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে ভূমিধসের সময় নিহতরা রাময়াল গ্রামে তাদের বাড়িতে ছিলেন।
সিন্ধুর জামশোরো, দাদু ও মিরপুরখাস জেলায় বৃষ্টিজনিত ঘটনায় অন্তত ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া ৩০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। টোবা টেক সিং-এর একটি গ্রামে একজন ব্যক্তি ও তার বোন মারা গেছেন। এ ছাড়া প্রবল বৃষ্টিতে বাড়ির ছাদ ধসে নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছে।
এদিকে সংঘাতপ্রবণ বেলুচিস্তানের লোরালাই, কিলা সাইফুল্লাহ, দুকি, হারনাই এবং ঝাল মাগসি এলাকায় আকস্মিক বন্যায় ১৩ জন ভেসে গেছেন।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, লোরালাইয়ে একটি পরিবারের সাত সদস্য ভেসে গেলেও পাঁচ ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করা হয়। দুকির আলানবার এলাকায় নদী পার হতে গিয়ে পাঁচজন ভেসে যান। তাদের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ঝাল মাগসীতেও বন্যার পানিতে ডুবে একজন নিখোঁজ হয়েছেন।
নিউজ /এমএসএম