মঙ্গলবার তিন দিনব্যাপী এক সফরে বেইজিংয়ে পৌঁছান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভান। ৮ বছরের মধ্যে সালিভানই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নিরাপত্তা উপদেষ্টা, যিনি চীন সফর করছেন।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নর্থ অ্যামেরিকা অ্যান্ড ওশেনিয়ান ডিপার্টমেন্টের চিফ ইয়াং তাও ও চীনে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকোলাস বার্নস। গত কয়েক বছর ধরে তাইওয়ান, তাইওয়ান প্রণালী, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।
এছাড়া চীনকে কৌশলগত প্রতিযোগী বিবেচনা করে দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিকে নানাভাবে চাপে রাখার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মাঝে ২০২২ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন হাউয স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি স্বাধীনতাকামী তাইওয়ান সফর করার পর বেইজিং ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়।
সার্বিক প্রেক্ষাপটে যতোই দিন গড়াচ্ছে দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব আরো বাড়ছে। শীতল থেকে শীতলতর হয়ে উঠছে সম্পর্ক। সম্পর্কের বরফ গলানোর লক্ষ্যেই সালিভানের এই সফর। সফরে ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের কৌশলগত সম্পর্ক রক্ষা ও যোগাযোগ বাড়ানোর ব্যাপারে গুরুত্ব দেবেন সালিভান।
জানুয়ারিতে বাইডেন ক্ষমতা ছাড়ার আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে সম্ভাব্য এক বৈঠক হওয়ার কথা। ওই বৈঠকের ভিত্তি স্থাপনে সালিভানের এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এ যাত্রায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে বৈঠক করবেন জেইক সালিভান। এর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বৈঠক করেন তারা। সে সময় দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে স্বাভাবিক করা যায়, সে বিষয়ক আলোচনা হয়। এরপর আরো দুইবার মাল্টা ও থাইল্যান্ডে বৈঠক করেন এ দুই শীর্ষ কূটনীতিক।
সালিভানের বেইজিং সফর প্রসঙ্গে চলতি সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ওয়াশিংটন-বেইজিং সম্পর্ক বর্তমানে জটিল এক ক্রান্তিলগ্নে আছে। চীনের উত্থানকে নানা ভাবে বাধা দেয়ার অভিযোগ তোলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। সালিভানের সফরকালে বৈশ্বিক জলবায়ু সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
নিউজ /এমএসএম