বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

রোগ প্রতিরোধে হলুদের যত গুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩০ এই পর্যন্ত দেখেছেন

প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ ও চৈনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে হলুদের ব্যবহার হচ্ছে সহস্র বছর ধরে। স্বাস্থ্যকর ভেষজ হলুদকে কেউ কেউ ‘ঔষধি ভেষজ’ নামে আখ্যায়িত করেন। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধে হলুদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ বাটা খাওয়ার চল বহু পুরনো। করোনার সময়ে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে আবার কাঁচা হলুদ খাওয়া শুরু করেছেন অনেকে। তবে এই সবের পাশাপাশি হলুদ খাওয়ার আরো একটি কারণ রয়েছে। ‘ফ্রন্টিয়ার ফার্মাকোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, হলুদের মধ্যে ‘কারকিউমিন’ নামক এমন একটি উপাদান রয়েছে যা মেদ ঝরাতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করে।

হলুদের মধ্যে কী এমন আছে?

১. প্রদাহজনিত পুরনো কোনো সমস্যা থাকলে বিপাক হারও কমতে শুরু করে। যে কারণে ওজন বেড়ে যেতেই পারে। হলুদের মধ্যে থাকা ‘কারকিউমিন’ কিন্তু খুব কার্যকরী একটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। প্রদাহনাশ করতে হলুদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

২. শরীরে মেদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার আরো একটি ‘ফ্যাক্টর’ হল ইনসুলিন হরমোন। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলে ওজনের ওপর তার প্রভাব পড়বেই। কাঁচা হলুদ খেলে ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি ভালো হয়।

৩. শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের পরিমাণ বাড়তে থাকলেও বিপাকহারের মান খারাপ হতে শুরু করে। ফলে বিপাকহারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সমস্যাগুলি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ‘সায়েন্টিকা ফার্মাসিউটিকা’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যেহেতু ‘কারকিউমিন’ এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তাই এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ।

বেশির ভাগ রান্নাতেই হলুদ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কাঁচা হলুদের গন্ধ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ পানিতে এক চিমটে হলুদ এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। স্মুদিতেও এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102